Log In

১৫ দফা নিয়ে বিএনএফ’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

১৫ দফা নিয়ে বিএনএফ’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবন মিলনায়নে আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করেন বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা-১৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এস, এম, আবুল কালাম আজাদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনএফ’র প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা-১৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এস, এম, আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি মুজিব নগর সরকার ও সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী দেশি-বিদেশি সকল সম্মানিত সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের। ১৯৭১ সনের পূর্বাপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য যাঁরা বিভিন্নভাবে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, শহীদ হয়েছেন, মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা জীবন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শানিত করে জনগণের পাশে জনকল্যাণে নিয়োজিত রয়েছেন তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
বিএনএফ’র নির্বাচনী ইশতেহার-
১. মহান আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সকল ধর্মের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
২. সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
৩. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কথিত বাজার সিন্ডিকেট কে আইনের আওতায় এনে এই অপশক্তিকে নির্মূল করা।
৪. সার্বিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখা।
৫. জাতীয় পুঁজির বিকাশ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৬. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া খাতে গুণগত পরিবর্তন করা।
৭. তরুণ ও যুব সমাজকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন।
৮. বৈষম্যহীন শ্রম আইন চালু করা।
৯. জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বিবেচনায় রেখে মিশ্র অর্থনীতি অনুসরণ করা।
১০. সংসদের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকার ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের সরকার ব্যবস্থা তথা মিশ্র সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন করা।
১১. জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, আনসারসহ সকল বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা।
১২. পাঁচ কোটি তরুণ ও সক্ষম যুবকদের সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যাতে করে প্রয়োজন হলে মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষায় নিয়মিত বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে অবদান রাখতে পারে।
১৩. পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও সম্মান, যুদ্ধ নয় শান্তিকে ভিত্তি করে ভারসাম্যের পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করা।
১৪. স্বাধীন মত প্রকাশে সকল ধরণের প্রতিবন্ধকতা দূর করা।
১৫. কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য পঞ্চবার্ষিকী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, কৃষি প্রধান দেশে কৃষিতে আমূল পরিবর্তন আনতে কৃষি বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ করে কৃষির অন্তরায় সকল অব্যবস্থাপনা নির্মূল করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, বিএনএফ’র ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ সুলতানা আহমেদ, বিএনএফ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ শফিউল্লাহ চৌধুরী, বিএনএফ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এস, এম, ইসলাম, বিএনএফ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল বরকত উল্লাহ্, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হাসান আজাদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সজীব কায়সার (মিথুন), কেন্দ্রীয় নেতা এস এম লিটন, সাদিকুন নাহার খান, মোমিনুল ইসলাম, শিবলী আহম্মেদ সুজন প্রমুখ।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *