Log In

মানুষের সার্বভৌমত্ব আইন-বিধানই বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় অবস্থার মূল কারণ : ইসলামী সমাজ

মানুষের সার্বভৌমত্ব আইন-বিধানই বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় অবস্থার মূল কারণ : ইসলামী সমাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামী সমাজ’র আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ, রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বই মানব জীবনের মূল সমস্যা এবং এটাই বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতময় অবস্থার মূল কারণ। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বকে দুর্নীতির মূল উৎস উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদী আরবসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এর পরিবর্তে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় বিশ্বের মানুষ মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে বন্দি হয়ে মানুষেরই দাসত্ব করছে, যার কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজবের অংশ হিসেবেই মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে এবং ক্রমে ক্রমে আযাব-গজবের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইসলামী সমাজ ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় আজ সোমবার ইসলামী সমাজের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতময় অবস্থার মূল কারণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ মানববন্ধনে সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং সরকার বিরোধীদের মধ্যে মহা শিরক গণতন্ত্রের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতবিরোধের তীব্রতা বেড়েই চলছে, যে কোন মুহুর্তে তা ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে। তিনি বলেন, কুফুরী ও শিরকী মতবাদ গণতন্ত্রসহ মানুষের রচিত সকল ব্যবস্থাই চরম দুর্নীতি এবং এসব মতবাদের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী সকল নেতাই দুর্নীতিবাজ। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের মানুষ দূর্নীতিবাজ নেতাদের নেতৃত্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে চরম দুর্ভোগ ও অশান্তিতে সময় কাটাচ্ছে। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস এবং অর্থ-সম্পদের মোহ, ক্ষমতা ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে সংঘাত-সংঘর্ষ ইত্যাদি মানুষের’ই কৃত অপরাধের শাস্তি স্বরুপ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব এ কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানব রচিত ব্যবস্থা  তথা মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করে ইসলামের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত ও পরিচালিত না হলে এসব আযাব-গজব থেকে বাঁচা আদৌ সম্ভব নয়। “ইসলামী সমাজ” এর নেতা-কর্মীগণ আল্লাহর আযাব-গজব থেকে নিজেরা বাঁচার এবং দেশ, জাতি ও বিশ্বের সকল মানুষকে বাঁচানোর লক্ষ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র লড়াই নয়! ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠনই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের একমাত্র উপায়। তাই তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঈমানদার সৎকর্মশীল হওয়ার লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ঈমানী দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *