Log In

হাসিনা দেশের সামগ্রীক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে পালিয়েছে : খেলাফত মজলিশ

হাসিনা দেশের সামগ্রীক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে পালিয়েছে : খেলাফত মজলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের সামগ্রীক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলেছে। জনগণের অধিকার হরণ করেছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারি-ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ক্যাম্পাসগুলোতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

দেশের সকল সেক্টরে স্থিতিশীলতার পরিবেশ রক্ষায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার সরকারের আমলে সকল হত্যা-খুনের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। দেশের বাহিরে বসে খুনী হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে। শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কারের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে সেখানে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী বিশেষজ্ঞ অন্তুর্ভুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য অন্য যে কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করবে বলে আমাদের বিশ^াস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করবে আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণদের দায়িত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার্থীরা জাতির আগামীর কর্ণধার। তারা যদি সঠিক নেতৃত্বে এগিয়ে আসে তাহলে দেশের পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেখানে ছাত্রদের দায়িত্ব হলো ন্যায় ও সততার পতাকা উঁচু করে রাখা।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের পরিবর্তন তরুণদের হাতে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের সময়, জ্ঞান ও যোগ্যতা দেশের কল্যাণে ব্যয় করা। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি ন্যয়ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই পরিবর্তনে ছাত্রসমাজই জাতিকে পথ দেখাতে পারে।

সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলনে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল।

বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জয়নুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করিম, ইসলামী যুব মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সোহাইল আহমদ, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা মুসা আল হাফিজ, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, অধ্যাপক সরোয়ার হোসেন, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী সহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবিএম ইজাজুল কবির রুহেল, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ান মাজহারী, জাগপা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকি, গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে আগত ছাত্র মজলিস প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক কে এম ইমরান হোসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, বাইতুল মাল সম্পাদক ইসমাইল খন্দকার, অফিস ও ছাত্র কল্যান সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পাঠাগার ও মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আহসান আহম্মদ খান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক জাকারিয়া হোসাইন জাকির, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি নুর মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাহমুদুল হাসান তোহা ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি লিটন আহম্মেদ জুম্মান।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *