Log In

সরকার চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারবে : হাইকোর্ট

সরকার চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারবে : হাইকোর্ট

সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনে/চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কোটা পুনর্বহাল করে দেওয়া হাইকোর্টের আলোচিত রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা বাড়াতে বা কমাতে পারবে। কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পদ্ধতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণি ও দশম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করতে হবে।

গত ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়।

এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর একমাসের স্থিতাবস্থা দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *