Log In

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান চান মমিন উল্যা : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান চান মমিন উল্যা : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান চান লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রাজাপুর গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে মমিন উল্যা। রোববার (২ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান তিনি। মমিন উল্যা বলেন, আমাদের বসতবাড়ির সম্পত্তিতে আমার বাবা-চাচারা তিন জন অংশীদার। আমার বাবার অংশে পৈত্রিক পুরনো ভিটাঘর আছে যেখানে আমি বসবাস করি, একপর্যায়ে আমি সেই ভিটাঘর সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী পুরনো ঘর ভেঙ্গে ফেলি এবং নতুন ঘর করার সিদ্ধান্ত নেই। তখন আমার চাচা আলী আহমেদ এর ছেলে চাচাতো ভাই ফিরোজ (সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সের এএসআই) এসে বাঁধা দেয়।

তখন সে বলে- নুতন ঘর করার আগে জমির পরিমাপ করে নতুন ঘর তৈরি করতে হবে। এরপর আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে বাড়ির জমির সীমানা নির্ধারণ করি। তখন চাচাত ভাই ফিরোজও উপস্থিত ছিল। এরপর আমি আমার সীমানায় নতুন টিনসেড একটা ঘর তৈরি করা শুরু করি এবং ঘরের ৩ ভাগের ২ ভাগ কাজ সম্পন্ন করি। ঘরের শেষ অংশের কাজ করা যখন শুরু করি তখন এএসআই ফিরোজ আমাকে ঘরের বাকি অংশের কাজ করতে মানা করে এবং জোরপূর্বক কাজ বন্ধ করে দেয়।

এএসআই ফিরোজ বলে পরিমাপ সঠিক হয় নাই। তখন ফিরোজ চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করে। অভিযোগ তদন্তে আসেন এসআই কালাম। তিনি একটা সময় নির্ধারণ করে থানায় যেতে বলেন। পরে আমরা উভয় পক্ষ থানায় যাই। এস আই কালাম তার মনোনিত আমিন দিয়ে গত ৩ এপ্রিল পুনরায় পরিমাপ করেন। সেই পরিমাপ আমরা মানলেও ফিরোজ অমান্য করেন।

পরবর্তীতে এসআই কালাম আমাদের উভয় পক্ষকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ইমদাদুল হকের কাছে নিয়ে যান। এসআই কালাম ওসিকে অবহিত করেন যে, জমির পরিমাপ মমিন উল্যা মানলেও ফিরোজ মানেন না। এতে মমিন উল্যা’র ঘরের কাজ বন্ধ আছে।

তখন আমি থানার ওসিকে বলি, আমার ঘরের কাজ ৩ ভাগের ২ ভাগ কাজ করা শেষ। বৃষ্টির কারণে আমার জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে আমাকে ঘরটা করার একটা ব্যবস্থা করেন। তখন ওসি বলেন, আমি একজন পুলিশের কর্মকর্তা আমার কাছে আরেকজন পুলিশ সদস্য (এএসআই ফিরোজ) ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। আমিও তাকে সময় দিয়েছি, এই কয়টা দিন একটু অপেক্ষা করেন। আমিও তখন ওসির কথায় রাজি হই। কিন্তু ২০ এসআই কালাম ৪ দিনের ট্রেনিং এ যান। পরে এসআই মোস্তাককে এবিষয়ে দায়িত্ব দেন। তিনি বিস্তারিত জানার জন্য ওইদিন দুইপক্ষকে কাগজ-পত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ২৫ এপ্রিল নতুন করে জমি পরিমাপের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। এসআই মোস্তাক তার মনোনিত একজন আমিন দিয়ে পুনরায় জমির পরিমাপ করেন। তখনও এএসআই ফিরোজ উপস্থিত ছিল। কিন্তু ফিরোজ সেই পরিমাপও মানেন না। তখন এসআই মোস্তাক ফিরোজকে বলেন, কেন মানেন না, তা হলে একদিন সময় করে আমরা আবার বসি। তখন এএসআই ফিরোজ বলেন, তার ছুটি শেষ তার কারণে সে বসতে পারবেন না সময় দিতে পারবে না। ৩ মাস পর সময় হইলে বসবো। এদিকে, আজ রোববার (২ জুন) সকালে এসআই মুস্তাকের নেতৃত্বে আবারও জমির পরিমাপ করা হয়। জমির সীমানা আগের পরিমাপের মতোই হয়। এবারও সে এই পরিমাপ মানতে নারাজ হয়। এভাবে এএসআই ফিরোজ হয়রানি করে আসছে। তার কারণে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি সংস্কার করতে পারছি না।

মমিন উল্যা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে এ বাড়ির সম্পত্তি ১০ বার পরিমাপ করা হয়। তারা নিজেরাই পরিমাপের সিদ্ধান্ত নেয়। পরিমাপের পর আবার তারাই পরিমাপ মানেন না। যখনই আমরা বাড়িতে কোনো সংস্কার কাজ করতে যাই তখনই ফিরোজ পুলিশি ক্ষমতার জোরে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। গ্রামের মুরুব্বি ও জনপ্রতিনিধিদেরও তিনি মানেন না। এমনকি চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশের সিন্ধান্তও তিনি মানেন না। পুলিশ সদস্য হওয়ায় থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ফলে পুলিশি পাওয়ার দেখিয়ে আমাদের দুটি পরিবারকে দীর্ঘদিনযাবৎ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাস দুয়েক আগে এই ফিরোজ আমাদের বিরুদ্ধে একটি বানোয়াট মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।

এমতাবস্থায় আমরা এই এএসআই ফিরোজের হাত থেকে রেহাই চাই। এবং আমাদের বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান চাই। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানা ওসি ইমদাদুল হক বলেন, এবিষয়ে আমি কছিু বলতে পারবো না। এটা আদালতের বিষয়, আদালত যা রায় দিবে তাই হবে।

এবিষয়ে এসআই মুস্তাকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি দেখছি। আশা করি, এষিয়ে আমি চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে একটা সমাধানের চেষ্টা করবো।

এএসআই ফিরোজকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন না।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *